আব্দুস সালাম, টেকনাফ;

সমুদ্রপথে মিয়ানমারে পাচারের সময় ৩৭৫ বস্তা সিমেন্ট, বিপুল পরিমাণ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধ সামগ্রীসহ ১৪ পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। এসময় পাচারে ব্যবহৃত দুইটি ট্রলারও জব্দ করা হয়।

কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্টগার্ড স্টেশন কক্সবাজার বাকখালী নদীর মোহনা সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে একটি সন্দেহজনক ফিশিং বোটে তল্লাশি চালিয়ে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমারে পাচারের উদ্দেশ্যে নেওয়া প্রায় ১ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের ৩৭৫ বস্তা সিমেন্টসহ ৮ পাচারকারীকে আটক করা হয়। এসময় ব্যবহৃত একটি ট্রলার জব্দ করা হয়।

তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত সিমেন্ট ও ট্রলারসহ আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। চোরাচালান রোধে কোস্টগার্ড ভবিষ্যতেও এমন অভিযান অব্যাহত রাখবে।

অন্যদিকে, মিয়ানমারে পাচারের সময় আরও বিপুল পরিমাণ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধ সামগ্রীসহ ৬ পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্টগার্ড।

তিনি জানান, শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্টগার্ড স্টেশন কক্সবাজার বাকখালী নদী সংলগ্ন এলাকায় আরেকটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে একটি সন্দেহজনক ফিশিং বোটে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৭ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধ সামগ্রীসহ ৬ পাচারকারীকে আটক করা হয়। জব্দকৃত বোট, আলামত ও আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চোরাচালান প্রতিরোধে কোস্টগার্ডের অভিযান ধারাবাহিকভাবে চলবে।